জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০টিতে উন্নীত করার বিষয়ে একমত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে আপাতত এই আসনে সরাসরি ভোট নয়, দলীয় মনোনয়নের পক্ষে দলটি। বিএনপি মনে করে, সংরক্ষিত নারী আসনে এখনই সরাসরি ভোটের সময় হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের বৈঠকের উদ্দেশ্য দূরত্ব ঘুচিয়ে জুলাই সনদে আরও কিছু যোগ করা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে তারা জানিয়েছেন যে, জুলাই সনদ কার্যকরের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না।
৩টি রাজনৈতিক দল ছাড়া বাকি সব দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বলে জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, নিক্কেই এশিয়া ফোরামে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে একটি বক্তব্য এসেছে যে, একটিমাত্র দল ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন চেয়েছে, যেটা সঠিক নয়।
জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পর যাওয়ার কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধানে হাত দেওয়া উচিত হবে না বলে মনে করেন নিরাপত্তাবিষয়ক বিশ্লেষক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান।
এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, সংস্কারপ্রক্রিয়ায় এ প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)। দলটি মনে করছে, টানা দুইবারের বেশি না পারলেও বিরতি দিয়ে কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলে, সে সুযোগ রাখতে হবে। এটা সংকুচিত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার নিয়ে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বৈঠকে প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্রের মূলনীতি, মৌলিক অধিকারসমূহ, আইন বিভাগের সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের কথা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষ হওয়ার পরই স্পষ্ট হবে অন্তর্বর্তী সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে।
পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর এখন পর্যন্ত কেবল ৭টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।